দীর্ঘ ৩২ দিন কারাবাসের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। সর্বশেষ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করার পর তিনি কারামুক্ত হন বলে দলটির নেতারা জানান।
গত ১১ নভেম্বর বিএনপির চলমান একদফা আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবরোধ চলাকালীন সময় বিএনপির এই শীর্ষ নেতাকে যশোর ডিবি পুলিশ তার নির্বাচনী এলাকা থেকে আটক করে। যদিও ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাকে ওই দিন যশোর মণিহার মোড় এলাকায় অবরোধ চলাকালীন সময় তাতে আটক করা হয়। আটকের পর যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশের দায়ের করা কথিত নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ আনা একটি মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কারাগারে থাকাকালীন বাঘারপাড়া ও অভয়নগর থানা পুলিশ পৃথক আরও চার মামলায় শ্যোনঅ্যারেস্ট দেখায়। ওই চারটি মামলায় তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও কোতয়ালী থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে জামিন নাকচ করে জজ কোর্ট। সর্বশেষ ওই মামলায় তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেয়ার আদেশ দেন।
বিএনপি নেতা টিএস আইয়ূবের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা বলেন, হাইকোর্টের জামিনের আদেশের কপি বৃহস্পতিবার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
জামিনের পর ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব বলেন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এখনো শত শত নেতাকর্মী মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদি সরকার তাদেরকে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে। তাদের অশ্রুসিক্ত বিদায় আমাকে চরমভাবে কষ্ট দিয়েছে। এসব নেতাকর্মীদের দ্রুত মুক্তি কামনা করছি। তিনি বলেন, ছোট্ট কারাগার থেকে এখন একটি বৃহৎ কারাগারে এসেছে। সরকার যতই গ্রেফতার নির্যাতন করুকনা কেনো আমরা মাঠ সরে যাবোনা। এলাকায় গিয়ে জনগনকে সাথে নিয়ে চলমান অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় থাকবেন বলে তিনি জানান।