খানিকটা হলেও টক দই রাখুন প্রতিদিনের পাতে। এতে থাকা প্রো-বায়োটিক উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। দৈনিক গড়ে ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম টক দই খাদ্য তালিকায় রাখতে পারলে তাই দূরে থাকতে পারবেন অনেক রোগ থেকে।
- চল্লিশ বছরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের জন্য টক দই খুব জরুরি। প্রতি ২৫০ গ্রাম দইয়ে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। রোজ এই ক্যালসিয়াম গ্রহণে হাড় শক্ত হয়।
- টক দই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার রক্তের এলডিএলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় টক দই বেশ উপকারী।
- টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ফলে কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে।
- শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হরমোন তৈরিতেও বাধা দেয় টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম। তাই টক দই খেলে বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই কারণে রোজ টক দই খেলে দাঁতের গঠনও মজবুত হয়।
- টক দইয়ে থাকা মিনারেল ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
- মাংস খাওয়ার পরে নির্দ্বিধায় খেতে পারেন টক দই। এটি হজমে সাহায্য করবে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন