আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছর মেয়াদের পক্ষেই অধিকাংশ দল‘
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
মূলত “দুই বার” নাকি “দুই মেয়াদ”—এই শব্দচয়নে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় অনেকেই বলেন, সময় হিসাব করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ভালো।
বিএনপি, এনডিএম ও বিএলডিপি এই প্রস্তাবে এখনো দ্বিমত পোষণ করেছে এবং বলেছে, বিষয়টি দলীয়ভাবে আরও আলোচনা করা প্রয়োজন।
আলোচনায় রাষ্ট্রের মূলনীতির বিষয়টিও উঠে আসে। বর্তমানে সংবিধানে রয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
কিন্তু সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে রাখা হয়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার ও গণতন্ত্র।
ডানপন্থী দলগুলো, যেমন বিএনপি ও জামায়াত, সংবিধানে “আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” যুক্ত করার পক্ষে মত দেয়, যা পঞ্চম সংশোধনীর সময়ে যুক্ত হয়েছিল। তবে বামপন্থী দলগুলো ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি রাখার পক্ষে।
এছাড়া কেউ কেউ বলেছে, এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট হওয়া উচিত বা নতুন সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে নতুন প্রস্তাব তৈরি করবে যাতে দলগুলোর মতামতের প্রতিফলন থাকে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে।
সংসদ না থাকায় গত ২রা জুন বিটিভিতে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল, ১লা জুলাই থেকে এটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
বাজেটের আকার গত বছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম, তবে সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৪৬ হাজার কোটি বেশি।
সরকারি রাজস্ব লক্ষ্য পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি, ঘাটতি দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি; দেশি উৎস ও বিদেশি ঋণ দিয়ে তা মেটানো হবে।
প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ধরা হয়েছে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ। পরিচালন ব্যয় পাঁচ লাখ ৬০ হাজার কোটি, উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি বরাদ্দ।
নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দ বাড়িয়ে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের বিশেষ ভাতা বাড়ানো হয়েছে।
কিছু কর ও শুল্কহার কমানো হয়েছে, যেমন পেট্রোলিয়াম, সোলার ইনভার্টার ও হাসপাতাল যন্ত্রপাতি আমদানিতে ছাড়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর ১৫ থেকে ১০ শতাংশে নামানো হয়েছে। বাজেট প্রণয়নে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য হওয়ার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ পরিবর্তন সীমিত বলে মন্তব্য করেছেন এবং আয়কর কাঠামো ও রপ্তানি প্রণোদনা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন দেখছেন।
সরকার প্রণোদনা ধাপে ধাপে কমানোর সময়সূচিও সামান্য পিছিয়েছে, যাতে শিল্প খাত প্রস্তুতি নিতে পারে।
যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর ‘কালোটাকা সাদা করার বিধান বাতিল‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আলোচিত কালোটাকা সাদা করার বিশেষ সুবিধা বাদ পড়েছে; এখন অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতে নিয়মিত করের সঙ্গে ১০ শতাংশ বাড়তি কর দিতে হবে।
হার্টের রিং-এর আগাম কর শূন্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়কর ১৫ থেকে ১০ শতাংশ হওয়ায় চিকিৎসা ও টিউশন ফি কিছুটা কমার আশা।
সরকারি কর্মচারীরা ন্যূনতম এক হাজারের বদলে ১৫০০ টাকা ও পেনশনভোগীরা ৭৫০ টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন, পেনশনের ওপর অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভাতা ব্যবস্থাও থাকছে।
সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দ বেড়ে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা, অবসরভাতা ও সঞ্চয়পত্রের সুদ এ খাতের বাইরে গোনা হয়েছে।
জমি রেজিস্ট্রেশনের গেইন ট্যাক্স গুলশান-বনানীতে পাঁচ ও গ্রামীণ এলাকায় তিন থেকে দুই শতাংশে নেমেছে, ফি-ও কমেছে, ফলে প্রকৃত মূল্য দেখিয়ে কেনাবেচা উৎসাহ পাবে।
রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম আমদানির আগাম কর সাত দশমকি পাঁচ থেকে দুই শতাংশ, ঝুটের তুলা ও নারী উদ্যোক্তার বিউটি পার্লার ভাড়ায় ভ্যাট মওকুফ, বল-পয়েন্ট কলম ও চোখের লেন্স আমদানিতেও ছাড়।
পেট্রোলিয়াম-সোলার ইনভার্টার-রাবারসহ নানা পণ্যে শুল্ক হ্রাসে জ্বালানি, চিকিৎসা ও টায়ার উৎপাদন ব্যয় কমবে। পূর্ণ আইপিও করা পাবলিক কোম্পানির সর্বোচ্চ করহার ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ, ব্যাংক লেনদেনে সব আয় হলে ২০ শতাংশ।
রাজস্ব লক্ষ্য পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার কোটি, ঘাটতি দুই লাখ ২৬ হাজার কোটি; দেশি ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও বৈদেশিক ঋণে অর্থায়ন হবে।
দুর্বল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ হলেও উন্নয়ন সহযোগীরা দুই দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আর রপ্তানি প্রণোদনা ধাপে ধাপে তুলে নেওয়ার তৃতীয় ধাপ ২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারিতে কার্যকর হবে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রথম পাতার খবর ‘Time to show ‘holy anger’ at govt’s ‘peculiar syndrome‘ সরকারের ‘আজব অসুস্থতার’ বিরুদ্ধে এখন ‘পবিত্র ক্ষোভ’ দেখানোর সময় এসেছে
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেইন জিল্লুর রহমান বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেন এক ধরনের “কুম্ভকর্ণ সিনড্রোমে” ভুগছে। সব শুনে কিন্তু কোনো জবাব দেয় না।
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে ‘পবিত্র ক্ষোভ’ দেখানোর, যেন সমাজে পরিবর্তন আনা যায়। ঢাকায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
এই আলোচনায় অনেকে বলেন, বাজেট বাস্তবতাহীন, প্রাইভেট সেক্টরের চাহিদা উপেক্ষা করা হয়েছে এবং কর্মসংস্থানের দিকে নজরই নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিশ্রুতি অনেক, কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ নেই। অনেকে বাজেটকে ‘ভেঙে পড়া প্রত্যাশার বাজেট’ এবং ‘শূন্য প্রতিশ্রুতির বাজেট’ বলে অভিহিত করেন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বাজেটের লক্ষ্যগুলোকে উচ্চাভিলাষী বললেও তা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না বলে জানান।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যাংকগুলো দুর্নীতিতে ভরা, বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঙ্কট রয়েছে, অথচ বাজেটে এসবের কোনো সমাধান নেই।
প্রবাসী ভোটাধিকার, এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ বা মার্কিন শুল্ক ইস্যুতেও সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
বক্তারা বলেন, সরকার জনগণের চাহিদা বুঝতে পারছে না, আর এই বাজেটে ভবিষ্যতের জন্য কোনো ভিশনও নেই।
প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ”মব’ তৈরি করে সাবেক সিইসিকে হেনস্তার পর পুলিশে সোপর্দ‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে একদল লোক বের করে এনে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করে, এরপর পুলিশে সোপর্দ করে।
এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। পরে পুলিশ জানায়, বিএনপির করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলায় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনজন সাবেক সিইসি এবং কয়েকজন সাবেক পুলিশ প্রধানসহ ২৪ জনের নাম রয়েছে।
ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, নূরুল হুদাকে ঘিরে থাকা লোকেরা তাকে ডিম ছুঁড়ে মারে, গালিগালাজ করে এবং এক ব্যক্তি তাঁকে জুতা দিয়েও আঘাত করেন।
পাশে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অনেকেই বলছেন, নূরুল হুদা যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে আইনের মাধ্যমে বিচার করতে হবে, মব তৈরি করে হেনস্তা করা উচিত হয়নি।
মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেলিন বলেন, এটি একটি ‘মব জাস্টিস’ এবং এটি যেমন অন্যায়, তেমনি যারা এটি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও বিচার হওয়া দরকার।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই ধরনের কাজে জড়িতদের দলগতভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না।
সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে যাচ্ছে‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানে হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইরান শান্তির পথে না এলে আরও হামলা হবে। এর জবাবে ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
ইরান এই হামলাকে “অকল্পনীয় আগ্রাসন” ও কূটনীতির বিনাশ বলে অভিহিত করেছে এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে গেছেন।
এই হামলা “অপারেশন মিডনাইট হ্যামার” নামে পরিচালিত হয়, যেখানে স্টেলথ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
রাশিয়া ও চীন এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে সকল পক্ষকে সংযম দেখাতে বলেছেন।
হামলার ফলে পারমাণবিক স্থাপনার বাইরে এখনো তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে আইএইএ।
এদিকে ইরান ইসরায়েলে ২৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যাতে তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাল্টা হামলায় ইসরায়েল ইরানে আঘাত হানে এবং নয় জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়। সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে, এখন শুধু সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনুমোদন বাকি।
এই সংকীর্ণ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ শতাংশ তেল ও গ্যাস পরিবহন হয়। ইরান যদি এটি বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বেড়ে যাবে এবং অর্থনীতি অস্থির হয়ে উঠবে।
ইরান জানিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজনে তারা এই রুট বন্ধ করে দেবে।
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িয়ে পড়ার পর আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন হরমুজ প্রণালির দিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য বিঘ্নেই তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিতে পারে।
এশিয়ার চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ এশিয়ায় সরবরাহ হওয়া তেলের ৮৪ শতাংশ আসে এই পথ দিয়ে।
যদিও সৌদি আরব ও আমিরাতের কিছু বিকল্প পাইপলাইন রয়েছে, সেগুলো এখন প্রায় অকার্যকর।
হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে তারা মাত্র দুই দশমিক ছয় মিলিয়ন ব্যারেল সরবরাহ করতে পারবে, যেখানে প্রণালির মাধ্যমে প্রতিদিন যায় ২০ মিলিয়ন ব্যারেল।
এই পরিস্থিতি বিশ্ববাজারে জ্বালানির সংকট, মূল্যবৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করেছে।
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘এনসিপির নিবন্ধনের আবেদন, চেয়েছে শাপলা প্রতীক‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আবেদনের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে ভিড় দেখা যায়।
এদিন পর্যন্ত ১৪৭টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), যারা গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন দল।
এনসিপি তাদের আবেদন ট্রাকে করে ইসিতে জমা দেয় এবং প্রতীক হিসেবে শাপলা, কলম বা মোবাইল চায়। তাদের প্রধান পছন্দ শাপলা।
দলটি জানায়, তারা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেছে, ২৫টি জেলা ও ১০৫টি উপজেলায় কমিটি গঠন করেছে এবং সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছে।
এনসিপি প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়েও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা দাবি করে, জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চাওয়া আইনসঙ্গত।
এ ছাড়া আম জনগণ পার্টি আনারস, কলম বা ঘণ্টা প্রতীক চেয়ে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। জনতা পার্টি বাংলাদেশ হাতি প্রতীক, জনতার দল চাবি প্রতীক চেয়েছে।
এ ছাড়া আরও অনেক দল তাদের নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। এর আগে ৯৩টি দল আবেদন করলেও মাত্র দুটি নিবন্ধন পায়।
এবার অনিবন্ধিত দলগুলো তাদের আবেদন পুনর্মূল্যায়নের অনুরোধ করেছে। নির্বাচন কমিশন এই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে।
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘৩৯ দিন সেবাবঞ্চিত নগরবাসী আজ খুলছে নগর ভবনের তালা‘।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের তালা ৩৯ দিন পর আজ খুলে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ই মে থেকে তার সমর্থকরা আন্দোলন শুরু করে এবং ১৫ই মে নগর ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এরপর বিভিন্ন দফতরেও তালা দেয়া হয়, ফলে নাগরিক সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা ঘোষণা দিয়েছে যে, নাগরিক সেবার স্বার্থে সব কক্ষ খুলে দেওয়া হবে, তবে প্রশাসক ও প্রকৌশলীদের কক্ষ তালাবদ্ধই থাকবে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানান, জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ সব নাগরিক সেবা চালু রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে ফিরতে বলা হয়েছে।
তিনি সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করেন।
একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেন, দুর্নীতিবাজ বা সরকার-সমর্থিত কেউ ভবনে ঢুকলে প্রতিহত করা হবে এবং দায়িত্বে গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইশরাক হোসেন আগেই নগর ভবনে বসে ডেঙ্গু ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, এতে সরকারের অসন্তোষ দেখা দেয়।
পরে ইশরাক ও তার সমর্থকরা কিছুটা নমনীয় হয়ে তালা খোলার সিদ্ধান্ত নেন।