ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের যাবতীয় সম্পদ জব্দের পর নিলামে তুলে বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিয়ে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেজন্য গোষ্ঠীটির কোনো সম্পদ এখন না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
“এই গ্রুপের সম্পদ যেন কেউ না কেনে। সেটা নিয়ে হয়তো লিগ্যাল চ্যালেঞ্জ হবে। আমি বলবো, দেশের স্বার্থেই ওই সম্পদে যেন কেউ হাত না দেয়,” বুধবার দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন গভর্নর মি. মনসুর।
তিনি আরও বলেন, “এই সম্পদগুলো আমাদের ডিপোজিটরদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যই আমরা ব্যবহার করতে চাই।”
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে এস আলম গ্রুপ যেভাবে ‘ব্যাংকলুট’ করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে সেটি নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন গভর্নর।
“সিস্টেমেটিক ওয়েতে ব্যাংকলুট করা এরকমভাবে এবং বিস্তৃত আকারে এত সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অন্য কোথাও আমি শুনি নাই,” সাংবাদিকদের বলেন মি. মনসুর।
ব্যাংকিংখাতের দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধেও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
“অন্যদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না,” বলেন মি. মনসুর।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
গত দেড় দশকে গ্রুপটি সরকারি-বেসরকারি সাতটিরও বেশি ব্যাংক থেকে এক লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ জালিয়াতি করেছে বলে বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এসব অর্থের বেশিরভাগই আবার দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।