পাল্টা হামলার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া

 

রাশিয়া খারকিভ প্রদেশে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় মধ্য ও পূর্ব ইউক্রেনের অবকাঠামোগত সুবিধাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যার ফলে যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে।

সোমবার এই দাবি করেন দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ।

খারকিভ শহরের মেয়র ইহোর তেরেখভ বলেছেন, রাশিয়ার হামলা শহরের বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, যাকে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সেনাদের সাম্প্রতিক উস্কানির জন্য রাশিয়ার ‘প্রতিশোধ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ডিনিপ্রো, পোল্টাভা এবং অন্যান্য পূর্ব শহরগুলোতে ব্ল্যাকআউটের খবর পাওয়া গেছে, সম্ভাব্যভাবে যা লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিককে প্রভাবিত করেছে। ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্ল্যাকআউটের জন্য ‘রাশিয়ান হামলাকে’ দায়ী করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা করা হয়নি। তাদের লক্ষ্য হল আলো এবং তাপ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা।’ ইউক্রেনীয় বাহিনী খারকিভ থেকে ৬০ মাইল পূর্বে রুশ সেনাদের পরিত্যাগ করা কুপিয়ানস্কের রেল হাব পুনরুদ্ধার করেছে এবং ইজিয়াম দখলের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। পাল্টা আঘাত করার প্রয়াসে, রাশিয়া রোববার পাওয়ার গ্রিডকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় যা খারকিভ এবং অন্যান্য এলাকাকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে। ইউক্রেনের নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করছে, শীতের আগ পর্যন্ত গ্রিডে হামলা হতে পারে। উত্তর-পূর্বের সুমি প্রদেশে, গভর্নর বাসিন্দাদের বৈদ্যুতিক ডিভাইসগুলো বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ‘এই অঞ্চলের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে বিদ্যৃত সঞ্চালনা কমে গেছে,’

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে ডিমিট্রো জাইভিটস্কি লিখেছেন, ‘আমি যতটা সম্ভব বৈদ্যুতিক ডিভাইস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরামর্শ দিচ্ছি।’ রাশিয়ার নেতৃত্ব দ্রুত বিকাশমান সামরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব কমই বলেছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন যে, রাশিয়ান পশ্চাদপসরণ আসলে ইজিয়ামে এবং পার্শ্ববর্তী ডোনেৎস্ক অঞ্চলে প্রতিরক্ষা লাইন শক্তিশালী করার জন্য ‘বাহিনীর পুনর্গঠন’।

 

ইউক্রেনের সঙ্গে বর্তমানে রাশিয়ার আলোচনা করার মতো কিছু নেই। কারণ এ বিষয়ে রাশিয়ার একমাত্র দাবি হচ্ছে, কিয়েভের শাসকদের সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ সোমবার তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ কথা বলেছেন।

আরো পড়তে পারেন:  Tk 23,000 almirah bought for Tk 96,000

তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিবৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, যেখানে তাদের সঙ্গে সংলাপে বসার জন্য রাশিয়ার প্রতি আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিল। ‘বর্তমান ‘আল্টিমেটাম’ হল বাচ্চাদের জন্য একটি ওয়ার্ম আপ, ভবিষ্যতে করা দাবির একটি পূর্বরূপ।

সূত্র: যুগান্তর

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...
আরো পড়তে পারেন:  ১৯ জানুয়ারি: ইতিহাসে আজকের এইদিনে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *