সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, অনতিবিলম্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে এবং পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, ”রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।”
”এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ”
”সকল দল ও অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।”
তিনি বলেন, ”বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনতিবিলম্বে বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে।”
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ”বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সকল বন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৃতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার সকল সহায়তা দেওয়া হবে। ”
”সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়,” বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন, ”আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে ও লুটতরাজ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি জানান, ছাত্রনেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অতি শীঘ্রই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। এছাড়া যারা হত্যা ও সহিংসতার সাথে জড়িত,সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দেশের সব অফিস-আদালত আগামীকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
”পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ ভুলে ও প্রতিহিংসার উর্ধ্বে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আমি আপনাদের প্রতি অনুরোধ করছি,” বলেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।