যশোরের কেশবপুর উপজেলার শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ল্যান্ট্রিন নির্মাণের প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার বিকেলে খেলার মাঠের সীমানার মধ্যে বাথরুম নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য এলাকার শত শত মানুষ ওই মান্ববন্ধনে অংশ নেন।
সরেজমিন জানা যায়, কেশবপুর উপজেলার শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যান্ট্রিন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরজন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বাথরুম নির্মাণের জন্য জায়গা দেখিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের কাছে যান। এসময় প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকসহ কারও সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই নিজের ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠের সীমানার মধ্যে এবং কবরস্থান সংলগ্ন স্থানে বাথরুম করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবতির্তে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী খেলার মাঠের মধ্যে বাথরুম না করার জন্য প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করেন। প্রধান শিক্ষক এ কথায় কর্ণপাত না করে তার ইচ্ছা অনুযায়ী কবরস্থান সংলগ্ন খেলার মাঠের মধ্যেই ল্যান্ট্রিন করার সিদ্ধান্তে আটল রয়েছেন। এর প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে এলাকার সকল শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, আবু কালাম গাজী, আব্দুস সামাদ, হাসানুজ্জামান সরদার, আব্দুস সালাম গাজী, শিকারপুর বাজার কমিটির সভাপতি তুহিনুজ্জামান ও সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, তাদের দাবি না মানলে এরপর প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ কঠোর কর্মসূচির পালন করা হবে। এর দায়ভার নিতে হবে শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেনকে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, এডহক কমিটির সভাপতি কেশবপুরের ইউএনও সাহেব বলেছেন ল্যাট্রিন নির্মাণ করতে সমস্যা নেই, তাই করছি। তাছাড়া এটিতো স্কুলেরই কাজে ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত কোন ম্যানেজিং কমিটি নেই।