ইমাম মাহদী দাবিকারী সৌদি আরব প্রবাসী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটনের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের একজন ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। সূত্র জানায়, মামলার পর তাঁকে গ্রেপ্তারের তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। এই ব্যক্তি সরল ধর্মপ্রাণ মানুষকে ভ্রান্ত আকিদায় চালিত করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইনে তিনি এসব কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সেটা দেশে থেকে, নাকি দেশের বাইরে থেকে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্রের দাবি, তিনি দেশেই আছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। অন্য একটি সূত্র মতে, তাঁকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, নিজেকে ইমাম মাহদী দাবিকারী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান ২০০৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন বলে জানা গেছে। এরপর মালয়েশিয়া থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রি নেন। ২০১৬ সালে উগান্ডা গিয়ে এক মাস অবস্থান করেন। এরপর ২০১৮ সালের অক্টোবরে তিনি সৌদি আরব গিয়ে নিজেকে কথিত ইমাম মাহদী হিসেবে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও ও ভিডিও আকারে প্রচার করছেন আরমান খান। ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক আইডি থেকে নিজেকে ইমাম মাহদী বলে প্রচার করে আসছিলেন তিনি।
সূত্র: কালের কন্ঠ