বিদেশ থেকে কোটি টাকার পার্সেল এসেছে আপনার ঠিকানায়। সেই পার্সেল নিতে প্রথমে ৫০ হাজার তারপর কয়েক লাখ টাকা খরচ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পার্সেল আর আসে না। এমনই প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে এমন প্রতারণা করে মাত্র দুই মাসেই চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা। চক্রের মূল হোতা ফারজানার নেতৃত্বে অবৈধভাবে বসবাসকারী নাইজেরিয়ার ১২ নাগরিক চালাতো অপরাধ কর্মকাণ্ড।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর ইনবক্সে চলে এসেছে বিদেশ থেকে কোটি টাকার পার্সেল গিফটের তথ্য। কীভাবে সংগ্রহ করতে তারও বিবরণ দেয়া থাকে মেসেঞ্জারে।
তাৎক্ষণিকভাবে ফোন চলে আসে গ্রাহকের মোবাইলে, কীভাবে পার্সেল সংগ্রহ করতে হবে জানিয়ে দেয়া হয় সেই পদ্ধতি। এই পুরো কাজটি সম্পন্ন করেন ১২ নাইজেরিয়ান নাগরিক। চক্রকে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ ডিগ্রিধারী রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন। যিনি নিজেকে কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন গ্রাহকের কাছে।
গত দুই বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় অফিস নিয়ে ভুয়া পার্সেলের নাম করে মানুষকে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। রাজধনীর পল্লবীতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি। উদ্ধার করা হয় ৫টি ল্যাপটপসহ ১৪টি মোবাইল ফোন।
নাইজেরিয়ান পরিচয় দেয়া এই চক্রের বেশিরভাগের নেই পাসপোর্ট, কারোরই নেই বৈধ কাগজপত্র । সিআইডি’র ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলছে, লেনদেন হওয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে দেশে অবস্থানের জন্যও তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: সময় নিউজ