যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে যোগ করা হয়েছে ২৮টি বাড়তি প্রশ্ন। থাকছে নতুন নতুন বিষয়। এর বেশিরভাগই মার্কিন ইতিহাস ও রাজনীতি বিষয়ক। নতুন নিয়মে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।
আগামী ১ ডিসেম্বর কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন নিয়ম। এই পরীক্ষা নাগরিকত্বের আবেদন করা অভিবাসীদের জন্য আগের চেয়ে বেশ কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। খবর সিবিএস নিউজের।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই মার্কিন অভিবাসন বিভাগ গতিহীন হয়ে পড়ে। নির্বাচন উপলক্ষে দেখা দেয় আরও বেশি দীর্ঘসূত্রতা। আশ্রয় প্রার্থনার তিন মাসের মধ্যে সাধারণত সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। কিন্তু তা গড়িয়েছে চার বছরেরও বেশি সময়ে।
এমনকি নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রেও এর ধীর গতি লক্ষ করা যায়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়ের মধ্য দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা অনেকেরই। কিন্তু মার্কিন অভিবাসন বিভাগের নতুন নিয়মে তা আরও কঠিন হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে (১৩ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নিয়ম ঘোষণা দিয়েছে অভিবাসন বিভাগ ‘ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস’ (ইউএসসিআইএস)। এতে জানানো হয়েছে, নতুন মৌখিক পরীক্ষায় ১২৮টি প্রশ্ন থাকবে।
এর আগে ২০০৮ সালে পরিবর্তন করা নিয়মাবলীতে এমন মৌখিক পরীক্ষার জন্য ১০০টি প্রশ্ন থাকত।
আগের প্রশ্ন থেকে নাগরিকত্ব গ্রহণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ১০টির মধ্যে ৬টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার নিয়ম ছিল। ১ ডিসেম্বর থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ১২টির সঠিক উত্তর দিতে হবে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, নাগরিকত্বের জন্য তিনটি বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতিমালা, সরকারপদ্ধতি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব। সূত্র: যুগান্তর